নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক রিয়াজ (১৬) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নবনীতা গুহ এর আদালতে ওই আসামি ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আসামিকে জেল হাজতে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দি দেওয়া আসামির নাম মো. মাসুদ (২৫) সে সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশপুর গ্রামের গফুর আলী বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, অটোরিকশা চালক রিয়াজ উদ্দিন হত্যার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানতে পারেন, একটি সংঘবদ্ধ অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সদস্যরা ওই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। এরপর হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে এক আসামির আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ জানায়, আসামি মাসুদকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন হত্যাকান্ডের একদিন আগে তারা কিশোর রিয়াজের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। সে মোতাবেক ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে তারা রিয়াজের অটোরিশাটি ছিনতাই করেন এবং রিয়াজকে গলা কেটে হত্যা করেন।
ওসি আরও বলেন, হত্যাকান্ডের পর মাসুদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অটোরিকশাটি বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর করিমপুর এলাকার গোরস্থান সড়কের হিরো অটোরিকশা গ্যারেজে আছেন বলে জানান। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই গ্যারেজ থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে এবং গ্যারেজের মালিক মো. মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগষ্ট সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাজাপুর এলাকার কিল্লারহাটগামী সড়কের উত্তর পাশে জনৈক স্বপন মিয়ার জমি সংলগ্ন সড়কের ওপর অটোরিকশা চালক রিয়াজ উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার পর তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। পরে রাতে পথচারিরা সড়কের পাশ্ববর্তী খেতে গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানা-পুলিশকে খবর দেয়। নিহত রিয়াজ উদ্দিন উপজেলার বদরপুর গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।