বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে জামায়াত। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নগরীর সাফা আর্কেডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম জোনের উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভুঁইয়া, মুহাম্মদ জাফর সাদেক, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন প্রমুখ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আল্লাহ তায়ালা মজলুম সংগঠন জামায়াতে ইসলামীসহ গোটা দেশের প্রতি গত ৫ আগস্ট করুণা করেছেন। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল, সংগঠন, পেশাজীবি, ওলামায়ে কেরাম, সুশীল সমাজসহ সকল শ্রেণি পেশার ওপর গত সাড়ে ১৫ বছরের যে অত্যাচার ও নির্যাতন, সেইসব থেকে আল্লাহ তায়ালা সকলকে মুক্তি দিয়েছেন, আমাদের বুকের ওপরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসকের জগদ্দল পাথর সরে গিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ আমরা উপহার পেয়েছি। এই ফ্যাসিবাদি দুঃশাসনের অবসানের জন্য কোটি কোটি মানুষ যে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে তা বাংলার ইতিহাসে আজীবন লেখা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য থেকেই আমাদের নেতৃবৃন্দকে হত্যা এবং পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের সেই স্বপ্ন ধুলিস্যাত করে দিয়েছে। জুলাই মাসের তরুণ ছাত্রসমাজের উত্থাল আন্দোলন এবং রক্তের মধ্য দিয়ে দেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার এসেছি, নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে জামায়াত।
চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দল-মত-নির্বিশেষে পুরো জাতিকে এক হতে হবে। সাম্প্রদায়িক হানাহানি, বিশৃঙ্খলা দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে আমরা আছি।
সভাপতির বক্তব্যে এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা শাহজাহান বলেন, সর্বস্তরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। জনগণের সেবায় জনগণের দোড়গোরায় পৌঁছে যেতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে হবে। পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই পরিবর্তনের জন্য আমাদের যেমন মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে, তেমনিভাবে মাঠে ভূমিকা রাখার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। জাতির কল্যাণে আমরা যেন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারি আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন।