বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি আল্লাহ ও রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য বলে উল্লেখ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আলমশাহ পাড়া নুরে মদিনা কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালানগর ইউনিয়ন শাখার কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সদস্য সচিব মহিউদ্দিন বাবু এবং ইউনিয়ন সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান বলেন, “আমাদের দল আর অন্য দলের সাথে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। অন্য দলের আকাঙ্ক্ষা শুধু ক্ষমতা দখল করে দুই পয়সা কামাই করা। কেউ বাপের নামে রাজনীতি করে, কেউ স্বামীর নামে রাজনীতি করে, কেউ বোনের নামে…। জামায়াতে ইসলামী এই রাজনীতি করে না। জামায়াতে ইসলামী রাজনীতি করে শুধুমাত্র আল্লাহ ও রাসুলের দেয়া সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য।
তিনি আরও বলেন, এই রাজনীতি কারো বাপের নয়, কারো ব্যক্তির নয়, কোনো ধর্মের নয়, কোনো গোষ্ঠীর নয়। এটি সার্বজনীন বিষয়। এজন্যই জামায়াতে ইসলামী যারা করে তাদের কেউ নিষিদ্ধ করুক আর না করুক জামায়াতে ইসলামী কোনোদিন নিষিদ্ধ হয় নাই।
অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি দল যে দল ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও এখনো বাংলার জমিনে, সারা পৃথিবীতে, মুসলিম বিশ্বে, অমুসলিম বিশ্বে এই রাজনৈতিক দলটি কোথাও দাওয়াতি কাজ, কোথাও রাজনৈতিক কাজ, কোথাও সমাজ গঠনের কাজ অনবরত করেই যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “চারদলীয় জোটের আমলে জামায়াতের নেতারা তিনটি মন্ত্রণালয় চালিয়েছিলেন। মতিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ—তাদের বিদায়ের পর চারদলীয় সরকার বিদায়ের পর সমস্ত ব্যক্তি বা এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ, দুর্নীতি পাওয়া গেছে, মামলাও হয়েছে। কিন্তু জামায়াতের এই তিন মন্ত্রণালয়ের এই দুই মন্ত্রীর এক পয়সারও দুর্নীতি কেউ আবিষ্কার করতে পারে নাই।
অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই। জামায়াতে ইসলামী মনে করে ধর্ম যার যাই হোক, বাংলাদেশে যারা জন্ম নিয়েছে তারা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক।
তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন আয়-উপার্জনের জন্য সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কর্ম করেন এবং ইবাদতের নিয়তে রাজনীতি করেন।
এই কর্মী ও সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা সমাজসেবা বিভাগের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ও সভাপতি মোহাম্মদ নুরুচ্ছালাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আমীর মোহাম্মদ হাসান মুরাদ, সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মাজলিসুল মুফাসসিরীন এর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা বোরহান উদ্দিনের দারসুল কুরআন পেশ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।