‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’ – এ স্লোগানে খাগড়াছড়িতে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ (সিআরবি) ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এসবের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অংশগ্রহণ করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, সহকারি পুলিশ সুপার সৈয়দ মুমিদ রায়হান, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, সদর উপজেলার ইউএনও নাঈমা ইসলাম, খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ শাহ আলম, উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ এরফান উদ্দিন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুদর্শন দত্ত, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) জেলা সভাপতি সাংবাদিক আবু তাহের মুহাম্মদ, কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ (সিআরবি) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রউফ প্রমুখ।
এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় খাগড়াছড়ি শহরের একটি হোটেলে হারপিক দিয়ে নাস্তা প্লেট পরিষ্কার করা, জেলার কয়েকটি উপজেলার কিছু বেকারি দোকানে ময়লা অপরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা, পঁচা ডিম দিয়ে বিস্কুট তৈরি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান বলেন- শুধু জরিমানা নয়, এ ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে কারাদন্ড পাঠাবো। তিনি আরো বলেন, শুধু কারাদন্ড/জেলে এবং জরিমানায় মিমাংসা হয় না। এসব ব্যাপারে সাধারণ ভোক্তাসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী বান্ধব সরকার। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়, আমরাও চাই না। তাই সকলে নিজ অবস্থানকে কাজ করলে আমরা ভোক্তাদের চাহিদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে পারবো।
সভায় অন্যান্য বক্তারা রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযান জোরদারকরণ এবং ভোক্তাদের জনসচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।