খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন হয়েছে, যা দীর্ঘ আলোচনার পর সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জিরুনা ত্রিপুরা, যা খাগড়াছড়ির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে নতুন অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এটি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের দশম অন্তর্বর্তী পরিষদ, যা ১৫ সদস্য বিশিষ্ট। এই পরিষদে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, কংজপ্রু মারমা, কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, শেফালিকা ত্রিপুরা, প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো: শহিদুল ইসলাম, আবদুল লতিফ, মো: মাহবুবুল আলম, জয়া ত্রিপুরা, ও অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা।
তবে, নতুন পরিষদ গঠন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু নেতিবাচক মন্তব্যে পরিষদের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সাংবাদিক শাহরিয়ার ইউনুস ফেসবুকে লেখেন, “বহু তামাশার জনপদ খাগড়াছড়ি। রক্ত, শোক, আতঙ্ক, ভয় কাটেনি। সেখানে মানসিক রোগীর চলন বলনে আমাদের বিনোদন দিতে পারবে না।” তাঁর এই মন্তব্য খাগড়াছড়ির জনগণের মধ্যে হতাশার সঞ্চার করেছে।
অন্যদিকে, নিনি মারমা ফেসবুকে লিখেছেন, “আজকেই বুঝলাম এতদিনে পাহাড়ে আন্দোলন সংগ্রামে ত্রিপুরাদের ভূমিকা না রাখার বিষয়!”
তবে, একাংশ জনসাধারণ, বিশেষ করে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নয়ন ত্রিপুরা, নতুন পরিষদকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “আশাকরি পার্বত্য জেলার জনগণ ও ছাত্র সমাজকে অতীতের ন্যায় হতাশ করবেন না।”
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পুনর্গঠন নিয়ে মতামত বিভক্ত থাকলেও, নতুন পরিষদকে জনগণের আশা পূরণের পথে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে, এমনটাই মনে করেন অনেকেই। সরকার ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় যদি এই পরিষদ কার্যকরভাবে কাজ করে, তবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে এক নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।