চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে স্বস্তিতে আছেন চার আসনে নৌকার চার প্রার্থী। কারণ, দলের কারও সঙ্গে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। অন্যান্য দলের যারা এসব আসনে নির্বাচন করছেন, তাদের চেয়ে নৌকার প্রার্থীরা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন। এই চার আসন হচ্ছে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা)।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান): এই আসনে টানা চারবার আওয়ামী লীগের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স ম জাফর উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি) ও মো. সফিক-উল আলম চৌধুরী। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞের কারণে এবারও ফজলে করিম চৌধুরীর জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া): আওয়ামী লীগের প্রার্থী টানা তিনবারের এমপি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর সঙ্গে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আহমদ রেজা (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মুছা আহমেদ জরিপ (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. মোরশেদ আলম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি) ও খোরশেদ আলম (তৃণমূল বিএনপি)। শক্ত প্রার্থী না থাকায় এবং এলাকায় উন্নয়নের কারণে ড. হাছান মাহমুদ আবারও বিজয়ের মালা পড়বেন কলে আশা নেতা-কর্মীদের।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া): এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মিটুল দাশ গুপ্ত (ন্যাপ), সুজিত সরকার (তৃণমূল বিএনপি), মো. নুরুল হুসাইন (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সানজিদ রশীদ চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), আবু আজম (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট) ও মো. ফেরদাউস বশির (তৃণমূল বিএনপি)। সাবেক মেয়র প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে নওফেল নির্বাচনি এলাকায় জনপ্রিয়। এবারও তার জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন সমর্থকরা।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা): তিনবারের এমপি ও বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুদ্দিন চৌধুরী জাবেদ এর সঙ্গে এই আসনে লড়ছেন সৈয়দ মোহাম্মদ হামেদ হোসাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), আবদুর রব চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. আরিফ মঈন উদ্দীন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মৌলভী রশিদুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন) ও মো. আবুল হোসেন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র ছেলে জাবেদ ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। আসনটি এবারও তার হবে বলে মনে করেন ভোটাররা।
চট্টগ্রাম-৬ আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯৫টি, ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২০৭ জন। চট্টগ্রাম-৭ আসনে ভোটকেন্দ্র ১০৩টি, ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৫৬ জন। চট্টগ্রাম-৯ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৪২টি, ভোটার ৪ লাখ ১৭ হাজার ৯৪৭ জন। চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১৮টি, ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৬ জন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।