চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) যান্ত্রিক শাখায় সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার মেধাতালিকার ফলাফল, পরীক্ষার্থীদের হাজিরা উধাওয়ের ঘটনায় তলব করেও সাড়া মেলেনি সাবেক সচিব খালেদ মাহমুদের। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চসিকে হাজির হননি তিনি। নেননি সময়ও। চসিক বলছে, ফের তলব করা হবে তাঁকে। এর আগে বিষয়টি নিয়ে করণীয় প্রসঙ্গে প্রশাসকের সঙ্গে বসবেন সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে চসিকের সচিবালয় শাখার এক কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত যান্ত্রিক শাখার ‘সহকারী প্রকৌশলী’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার এক প্রার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করলে নিয়োগ ফল উধাওয়ের বিষয়টি সামনে আসে। চসিক ভবন ঘেঁটে নথিপত্র না পেয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক চসিক সচিব খালেদ মাহমুদকে তলব করে চিঠি পাঠায় চসিক। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে তাঁকে চসিক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক চসিক সচিব, বর্তমানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক খালেদ মাহমুদের ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর তাকে তলব করে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত সহকারী প্রকৌশলী (পুর/যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ) পদে জনবল নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা এবং ১৭ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পদে জনবল নিয়োগ করা হয়। এ বিষয়ে পুনঃ নিরীক্ষণের জন্য সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদের একজন পরীক্ষার্থী মেয়র বরাবরে আবদন করেন। এ বিষয়ে সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস হতেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার মার্কশিট এবং মেধাতালিকা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওই পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল তাদের দেয়া হয়নি বলে জানায়।
দাপ্তরিক প্রধান হিসেবে কাগজপত্র সংরক্ষণ করা সাবেক এ কর্মকর্তার দায়িত্ব উল্লেখ করে চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করলে মেধা তালিকা নথিতে থাকা আবশ্যিক হলেও নথিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। দপ্তরের দাপ্তরিক প্রধান হিসেবে এতদসংক্রান্ত কাগজাদি সংরক্ষণ করা আপনার কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ের মধ্যে পড়ে।’
২০২১ সালের ৯ মার্চ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন থেকে সচিব হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আসেন খালেদ মাহমুদ। দায়িত্বপালনকালে বিধি না মেনে নিয়োগ, অবসরের যাওয়ার আগমুহূর্তে বিধি ভঙ্গ করে এক প্রকৌশলীকে পদোন্নতি দেওয়ার ঘটনায় করপোরেশনে সমালোচিত হন তিনি। এছাড়া কয়েকদফা বদলির পরও তাঁর চেয়ার না ছাড়ার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছিল। সবশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চেয়ার ছেড়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে যান এ কর্মকর্তা।