নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে মো. আলম নামে এক চাকরিজীবীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন নিহতের ভাই জামাল উদ্দিন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল হক মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, এমএ লতিফ, মো. দিদারুল আলম দিদার, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোলেমান আলম শেঠ, সাবেক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোবারক, তৌফিক আহম্মদ চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, আব্দুর সবুর লিটন, পুলক খাস্তগীর, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, এসরারুল হক ও জহুর লাল হাজারী প্রমুখ। এছাড়া বাকি আসামিরা সবাই নগর ও জেলার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, মো. আলম হত্যার ঘটনায় থানায় ২২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলা এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। গত ৫ আগস্ট বিকেলে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। বিপরীতে কিছু দুষ্কৃতকারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগ করে। মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া গুলি লাগে ভিকটিম মো. আলমের মাথায়। পরে মো. আলমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।