দেশান্তরি না হয়ে নির্বাচনে আসার জন্য বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তর কাট্টলীর কর্ণেলহাটে উত্তর কাট্টলী জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন বৈদেশিক আনুকল্য লাভে ব্যর্থ হয়ে অনেকে দেশান্তরি হচ্ছেন বলে আমরা খবর পাচ্ছি। তাই তাদের প্রতি আমাদের আহবান থাকবে দেশান্তরি না হয়ে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনই হচ্ছে ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র সাংবিধানিক পথ। তাই নির্বাচন ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন বিরোধীদলীয় নেতারা মনে করেছিলেন তাদের কোন প্রভু বিদেশী রাষ্ট্র এসে তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। কিন্তু তাদের সে আশা ধীরে ধীরে গুড়োবালিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই তাদের অনেক নেতা দেশান্তরি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলীয় এই সমন্বয়ক।
সুজন বলেন বিএনপি-জামায়াত চক্রটি যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে তাদের আন্দোলনে কোন জনভিত্তি নেই। তাই ধ্বংসাত্নক কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা। তাদের অশুভ উদ্দেশ্য কোনভাবেই সফল হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চসিকের সাবেক প্রশাসক আরো বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে অত্যন্ত নৃশংসভাবে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারবর্গকে হত্যা করা হয়। জাতির পিতার কন্যাদ্বয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করায় প্রানে বেঁচে গেলেও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী সেদিন নিহত হন। অনেকেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে নির্মমভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তাই এসব খুনি-সন্ত্রাসী বাহিনীকে আর কোনভাবেই ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা আনছারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং জহির উদ্দিন বাবর এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন, কুতুব উদ্দিন, নুরুল আবছার আজম খান, নুরুল কবির, বিশেষ অতিথি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান হাসান আহম্মেদ ইমু, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইলিয়াছ, শহিদুল ইসলাম দুলদুল, মাহবুবুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, আবুল হাসান সৈকত, শেখ মামুনুর রশীদ, জমির উদ্দিন মাসুদ, আফগানী বাবু, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জনি প্রমূখ।