পাকিস্তানের বহুল আলোচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ পাকিস্তানে ৮৫৫টি আসনে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন হয়।
এর আগে দেশটিতে ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল। সেবারের তুলনায় এবারের নির্বাচনে অনেক পরিবর্তন ছিল। এবারের নির্বাচনের জন্য ৪৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছিল। এছাড়া এবার দেশটির মোট নাগরিকের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোটার ছিলেন। এমনকি এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ১৮ হাজার স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। ব্যালট পেপার ছাপাতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০ কোটি ৬০ লাখ কাগজ।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনটি আলাদা মামলায় কারাদণ্ড পেয়ে তিনি এখন জেলে বন্দি আছেন। তবে ইমরান খান জেলের ভেতর থেকেই নিজের ভোট প্রদান করেছেন।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। সবমিলিয়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি বুথে ভোট দেন সাধারণ ভোটারর। এসব ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন ১৪ লাখ কর্মী।
এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভোটের দিন পাকিস্তানে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন করে দেওয়া হয়। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফসহ বেশ কয়েকটি দল মোবাইল সংযোগ চালু করার দাবি জানায়।
পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, মধ্যরাতের পর ভোটের ফলাফল জানা যাবে। আর পূর্ণ ফল জানতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে ফলাফল জানা যাবে।
ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার এক ঘণ্টা পর থেকেই ফলাফল প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোকে।