চন্দনাইশের বৈলতলী ইউনিয়নের চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা কলিম উল্লাহ চৌধুরী। থানার সোর্স হিসেবে পরিচিত তিনি। যেটি ব্যবহার করে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লোকজনের কাছ থেকে। এছাড়া সাঙ্গু নদীর বালি তুলে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন কলিম উল্লাহ।
গত কয়েক বছর ধরে বৈলতলী ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে কলিম উল্লাহ। কিন্তু বিপত্তি বাধে গত ৫ আগস্ট থেকে। ছাত্র-জনতার এক সফল অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। এরপর থেকে কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকেন কলিম উল্লাহ। কিন্তু টাকার বিনিময়ে কৌশলে কয়েকজন বিএনপি-জামায়াত নেতাকে ম্যানেজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কলিম উল্লাহ।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথমেই দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা শেখ মহিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলিম। তারপর সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। একপর্যায়ে জামায়াতের চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করতে অনেকটা ব্যর্থ হয় কলিম। এরপর স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের আশ্রয় নিয়ে অস্ত্রের মজুত করছেন তিনি। বালুর ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে যেকোনো সময় সশস্ত্র সংঘর্ষ জড়াতে পারেন তিনি। একারণে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চন্দনাইশ বৈলতলী ইউনিয়নের একজন বলেন, গত ১০ থেকে ১২ বছর বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কষ্ট দিয়েছেন কলিম উল্লাহ। জামায়াতের প্রয়াত নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গায়েবানা জানাজা থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন বিএনপি-জামায়াতের নেতারা তাকে আশ্রয় দিচ্ছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। অথচ চন্দনাইশের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরীসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সখ্যতা রয়েছে এবং ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তার ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।