♦ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির অবদানকে ছোট করে দেখার প্রচেষ্টা চলছে। এবং বিগত ১৬ বছর ধরে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে।
♦বিএনপি’র বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে, ২৪শে’র বিপ্লবে বিএনপি’র কতজন শহীদ হয়েছে এই তথ্যটি জনগণের জানা দরকার। তাই বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে স্বৈরাচারের দোসর মিডিয়া তা প্রচার করছে না।
♦গতকাল বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন বিএনপি’র ৪২৩ জন শহীদ হয়েছেন। গণমাধ্যমে খুজে দেখুন এই রিপোর্টটি। চট্টগ্রামের আজাদী পূর্বকোণের প্রথম পাতায় নিউজটি নেই। একমাত্র পূর্বদেশ পত্রিকার প্রথম পাতায় শহীদের সংখ্যা দিয়ে, ছবি দিয়ে ভাল কাভারেজ দিয়েছে। বাকি তিনটি মিডিয়া তা গুরুত্বহীনভাবে প্রকাশ করেছে। একই চিত্র দেশের বেশিরভাগ মিডিয়ার ক্ষেত্রে।
♦এই সংবাদটি কি গুরুত্বহীন? নাকি বিএনপি’র পজিটিভ সংবাদ বলেই আপনাদের কাছে গুরুত্বহীন হয়েছে? নেগেটিভ কোন সংবাদ হলে তো বোল্ড করে প্রচার করেন!! কেন? কেন এই বৈষম্য?
♦গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। ছোটখাটো একটা বিষয়কে অতিরঞ্জিত করে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া সংবাদ শিরোনামের ভাষাও যথেষ্ট উদ্দশ্য প্রণোদিত প্রবনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগণের কাছে বিএনপির জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
♦সাংবাদিকতা নিছক একটি পেশা না, এটা একটি মহান দায়িত্ব। বিএনপির পক্ষে আপনারা লিখুন তা বলছিনা। আপনারা সত্য প্রচার করুন, কোন পক্ষের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে দেশ ও জনগনের ক্ষতি করবেন না।
♦আমরা আহ্বান জানাবো জনগণের সামনে সঠিক তথ্য প্রকাশ করুন। বিএনপি এদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এই দলের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কিছু করার চেষ্টা করা মানে দেশের ক্ষতি করা। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই প্রত্যাশা রইলো।
নাজমা সাঈদ :
সাবেক সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস