সোমবার নলমুড়ি আর জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মিমি। মঙ্গলে তিনি ছাড়লেন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি।
সংসদের দু’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে মিমি ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে এই ঘটনা অর্থবহ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে।
সংসদে শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ছিলেন শক্তি মন্ত্রক এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্য। তা থেকেও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার মিমি নলমুড়ি আর জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। মঙ্গলে তিনি ছাড়লেন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি।
পর পর দু’দিন মিমির এই পদক্ষেপ দেখে অনেকেই মনে করছেন রাজনীতি এবং যাদবপুর লোকসভা থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তিনি। এই ভাবেই রাজনীতি থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছিলেন ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর অভিনেতা-সাংসদ মত বদলেছেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরামবাগেও গিয়েছিলেন দেব। সেই মঞ্চ থেকেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, ফের তিনি ঘাটালে প্রার্থী হচ্ছেন। তবে দেবকে আবার প্রার্থী করার বিষয়ে তৃণমূলনেত্রী আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু মিমির ক্ষেত্রে তৃণমূল সেই আগ্রহ দেখাবে কি না তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে।
এই পাঁচ বছরে মিমিকে সে ভাবে সংসদে দেখা যায়নি। এমনকি তাঁর সংসদীয় এলাকাতেও তিনি খুব বেশি সময় দিয়েছেন বলে শোনা যায় না। যা নিয়ে দলের মধ্যেও সাংসদের বিরুদ্ধে একাংশের ক্ষোভ ছিল। সোম ও মঙ্গলবার মিমির একের পর এক ইস্তফা রাজনীতি থেকে তাঁর বিদায়েরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।