দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হল প্রবাস থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স। প্রবাসী কর্মজীবিরা তাদের পরিশ্রমের উপার্জন বৈধভাবে দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রবাসীদের সম্মানিত করতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বারের মতো ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন।
১৭ জানুয়ারি কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) শাহানাজ পারভিন এর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বাংলাদেশি অধিবাসীদের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এর জন্য আবেদন আহবান করা হয়েছে। অ্যাওয়ার্ড প্রত্যাশীদের অবশ্য জানুয়ারি ২০২৩ হতে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী বাংলাদেশিরা এ্যাওয়ার্ডের জন্য বিবেচিত হবে।
এতে আরো বলা হয়, সর্বমোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৫ জনকে পুরস্কার প্রধান করবে কনস্যুলেট। এদের মধ্য সাধারণ কর্মী-১ (মাসিক বেতন ১২০০ দিরহামের নিচে) ১০ জন, সাধারণ কর্মী-২ (মাসিক বেতন ১২০০ দিরহামের উপরে) ১০ জন, ব্যবসায়ী পুরুষ ১০ জন ও নারী ব্যবসায়ী ৫ জন এবং বিভিন্ন পেশাজীবী প্রবাসীদের মধ্যে ১০ জন।
পুরস্কার প্রত্যাশীদের অবশ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকাশিত আবেদন ফরমে ও শর্তাবলি পূরন করে আবেদন করতে হবে।
কনস্যুলেট জেনারেল কর্তৃক সরবরাহকৃত নির্দিষ্ট আবেদন ফরমের সাথে সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ আগামি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই; অথবা mission.dubai@mofa.gov.bd / counselordubai@probashi.gov.bd / fsdubai@probashi.gov.bd ই-মেইল ঠিকানা কিংবা বাংলাদেশ সমিতি, ফুজাইরা বা শারজাহ, অথবা বাংলাদেশ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, রাস আল-খাইমাহ এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনে সংযুক্ত করতে হবে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের প্রমাণ। যেমন ব্যাংকিং চ্যানেল, এক্সচেঞ্জ হাউজ বা বৈধপথে অর্থ প্রেরণের রশিদ।
উল্লেখ্য, গত অর্থ বছরের দেশের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স যোগানদাতা দেশ সৌদিআরবকে পিছনে ফেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।