র্যাবের সিও, ডিসি, এসপি এবং জেল সুপার’সহ বিভিন্ন পেশার ভুয়া পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা তোরাব আলী ওরফে রেজাউল করিমসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী থেকে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করে। আজ মঙ্গলবার দুপরে সিপিএসসি (কক্সবাজার ক্যাম্প), র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাদশা, তারেকুর রহমান, মো. জোবায়ের, এমদাদ উল্লাহ মারুফ ও মিশকাত জান্নাত জুলি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, গত ২ থেকে ৩ মাস ধরে অভিযুক্ত প্রতারক তোরাব ও তার দলের সদস্যদের অনুসরণ করে আসছিল র্যাব। এই দলে ২০ জনের মতো সদস্য রয়েছে। তারা কারাগার, আদালত ও থানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। যাদের আত্মীয় স্বজনরা জেলে আছে, তাদের নম্বর নিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করে এই প্রতারক চক্র। এমন কয়েক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
র্যাব আরো জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রতারক তোরাব আলী কুতুবদিয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করারও পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য ১৫ থেকে ২০টি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়েছে সে। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য ১ কোটি টাকার মতো অনুদানও দিয়েছে সে। এসব ঘটনা থেকে র্যাব ধারণা করছে, গত কয়েক বছরে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সে ও তার চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিয়েছে। অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রতারক তোরাব ৫টি বিয়ে করার কথাও র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। যদিও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে র্যাব জানান, নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ১১টি বিয়ে করেছেন তিনি। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া র্যাব অর্থ ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি মোবাইলও উদ্ধার করেছে র্যাব।
তোরাব আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, মাদক ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে বলেও জানান র্যাব।