ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা। ডাকাতি করে পাওয়া মালামাল নিতে পিকআপও প্রস্তুত করে রেখেছিল। এদিকে গোপনে খবর পেয়ে প্রস্তুতির সময়েই ৫ ডাকাতকে ধরে ফেললে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাদের। একই সাথে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়।
রোববার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ৩ টার সময় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট কুমিরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত ডাকাতরা হলেন, সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন (২৫), একরাম হোসেন জনি (২৬), একই উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল বশর (৪২), চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার বাসিন্দা মো. আজিজ (২৭) ও নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. শফিক (৫২)।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান,গভীর রাতে মহাসড়কের ছোট কুমিরা এলাকায় সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন বলে তাঁরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন। এই সময় বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়।
তবে অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্ঘবদ্ধ দলের বেশ কয়েকজন ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়।
এই সময় ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দের পাশাপাশি ৫টি ছুরি,৬ টি লোহার রড ও ৩টি পাইপ উদ্ধার করা হয়।
ওসি কামাল উদ্দিন আরও জানান, আটক পাঁচ ডাকাতের বিরুদ্ধে ডাকাতি,চুরি,মারামারিসহ নানা অপরাধের ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাদের ডাকাতি প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।