কক্সবাজারে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করলে কক্সবাজারের পর্যটনে খরা নেমে আসবে এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তিন লাখের বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে পর্যটক যাতায়ত অব্যাহত রাখতে সুপরিকল্পিত সংস্কার করতে হবে।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত সীমিতকরণ ও পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে
মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন্স সহ ১৩ সংগঠনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দ্বীপটিতে রাতযাপন নিষিদ্ধ হলে হুমকিতে পড়বে ৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা। এছাড়াও নিঃস্ব হবেন সেখানে শত শত কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা ব্যবসায়ীরা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা মুফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সীক্রুজ অপারেটর অনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশেল সাধারণত সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর, টুয়াকের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার কামাল, জেলা বিএনপির নেতা রাশেদ মোহাম্মদ আলীসহ পর্যটন ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
পরে কক্সবাজারের অভিজাত একটি হোটেলে সংবাদ করে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোট। সেখানে সেন্টমার্টিনন্স বিষয়ে বিগত সরকারের গৃহীত সব পর্যটনবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১৮ দফা দাবি ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বক্তারা।